আদা কখন খেতে মানা

রান্নায় আদার ব্যবহার স্বাদকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। সবজিতে ব্যবহৃত ওই একই আদার শুধু খেলে ও অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া সম্ভব। যেমনটা-ঠান্ডা লেগে গলা খুসখুস, কাশি, আর্থারাইটিস, বমি ভাবের মত সমস্যা দূর করতে এক টুকরো আদাই যথেষ্ট। তবে আদা বেশি পরিমাণে খেলে, বা অসময়ে খেলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে শরীরের চারটি বিশেষ অবস্থায় আদা খেতে সম্পূর্ন মানা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক সেই চারটি শারীরীক অবস্থা—
ওষুধ সেবনের সময়— যারা ডায়াবেটিস বা ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খান, তাদের জন্য আদা বেশ ক্ষতিকারক। কারণ, এই দুই অসুখের জন্য যে ওষুধ ব্যবহৃত হয়, তার সঙ্গে আদার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। যদিও,আদা রক্তের ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে রক্তের চাপও কম থাকে।

ওজনের সমস্যা— এমনিতেই যদি শরীরের ওজন কম হয়, সে ক্ষেত্রে আদার ব্যবহার খুবই কম করা উচিত। কারণ, আদায় ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা শরীরের পিএইচ লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে হজমের প্রক্রিয়া খুবই ভাল হয়। ওজন বাড়াতে চাইলে আদা বাদ দেওয়াই শ্রেয়।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়— আদায় বেশ কয়েক ধরনের ফাইবার উপস্থিত, যা শরীরের পেশী মজবুত করে। তাই অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন মহিলাদের আদা না খাওয়াই ভাল। বিশেষ করে প্রসবের আগের তিন মাস।

রক্তের সমস্যা— শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আদা। ফলে, যাদের ওজন বেশি ও ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের জন্য আদা উপকারী। কিন্তু, যাদের হিমোফিলিয়া রয়েছে, তাদের জন্য আদা প্রায় বিষের সমান।